Bengali Granthas
1. BE A GAUÒÉYA VAIÑËAVA –Bengali
এই গ্রন্থ “গৌড়ীয় বৈষ্ণব হউন”– গৌড়ীয় আচার্যবৃন্দের শিক্ষাতে গুপ্ত সম্পদ সুপ্রকাশিত করিয়াছে। এই গ্রন্থ বাস্তবিক গৌড়ীয় বৈষ্ণব সিদ্ধান্তের অতি সরল রূপে উল্লেখ করিয়াছে। যদ্যপি এই গ্রন্থ বৃহৎ আকার না হইয়া ছোট প্রতীত হইতে পারে, কিন্তু বাস্তবে ইহা অতি গভীর– ইহা বাস্তবে অনেক গৌড়ীয় শাের “মর্ম”, “র ভাণ্ডার” স্বরূপ।
যখনই কেহ এই গ্রন্থের বিষয়াবলী অনুশীলন করিবেন, তখনই তিনি বাস্তবে শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু তথা আমাদের বাস্তবিক আচার্য “গোস্বামিগণের” কৃপা, শক্তি, প্রভাব তথা তাঁহাদের সাক্ষাৎ সান্নিধ্য অনুভব করিবেন, তথা তিনি এই গ্রন্থের রচনাকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করিবেন, না কেবল এই জীবনের জন্য, বরং অনাদিকালের জন্য !
এই গ্রন্থ বাস্তবে আমাদের ইহা অনুভব করাইবে যে গৌড়ীয় বৈষ্ণব হওয়া কোন সমৃদ্ধি নহে… ইহার কোন বিকল্প নাই, বরং নিতান্তই আবশ্যক ইহা। যিনি সর্বোচ্চ আস্বাদন প্রাপ্ত করিতে চাহেন, তাঁহার জন্য কেবল এই এক আর একমাত্র উপায়। কখনও না কখনও ব্যক্তি নিশ্চিত রূপে ইহা অনুভব করিবেন, কি এই পবিত্র গ্রন্থ তাঁহার সর্বোচ্চ রসাস্বাদন করিতে পরম আকাঙ্ক্ষিত, নিত্য অভিলষত স্বপ্নের মার্গে চলিবার জন্যে “মার্গ দর্শক” স্বরূপ। এই শা সকলেরই জন্য এক “অমূল্য সম্পদ” !
এই গ্রন্থের সত্যিকারের সঙ্গ হেতু,
আমরা নিশ্চিত রূপে,
বাস্তবিক গৌড়ীয় বৈষ্ণব হইতে পারিব !!
2. NITYA NAVADVÉPA- Bengali
‘নিত্য নবদ্বীপ’ গ্রন্থ সর্বোচ্চ… শ্রীনবদ্বীপধামের সুন্দর নিরূপণ করিয়াছেন… যে শ্রীধাম বেদের সীমা অন্তর্গত নহেন… যেথায় ব্রা তথা শিব আদিও প্রবেশ করিতে পারেন না… তথা যাহা সৃষ্টির বিনষ্টের পশ্চাৎও অক্ষত অবস্থায় অবস্থান করেন।
ব্রাণ্ডের বহুলোকে কেবল এক নবদ্বীপ ধাম, ভগবান্ মহাপ্রভুর ধাম… তথা যেথায় তাঁহার কৃপা বিনা কেহই প্রবেশ করিতে পারেন না।
সমস্ত ব্রাণ্ডে অগণিত ভক্ত শ্রীমন্মহাপ্রভুর উপাসনা করিতেছেন, তাঁহারা গৌড়ীয় বৈষ্ণব, তথাপি দুর্ভাগ্যবশতঃ তাঁহারা মহা-মহিমামণ্ডিত শ্রীনবদ্বীপধামের মহিমা সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ।
এই গ্রন্থ অত্যন্ত মূলভূত সকল প্রশ্নের উর দিবেন–
প্রশ্ন ১ — নিত্য নবদ্বীপে কেন প্রবেশ করিব ?
প্রশ্ন ২ — নিত্য নবদ্বীপে কিরূপ প্রবেশ করিব ?
প্রশ্ন ৩ — নিত্য নবদ্বীপে দেখতে কেমন ?
প্রশ্ন ৪ — মহাপ্রভুর অষ্টকালীয় লীলা কেমন হয় ?
প্রশ্ন ৫ — নিত্য নবদ্বীপে শ্রীমন্ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর সেবা অহর্নিশ কিভাবে করিতে পারে ?
3. SAMAÑÖI GURU-Bengali
এই গ্রন্থ স্পষ্টীকরণ করে–
* সমষ্টি গুরু আপনার ভক্তি সাধনায় কিভাবে প্রত্যক্ষ রূপে উপস্থিত আছেন !
* সাধনকালে সমষ্টি গুরুর ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষতঃ যখন আধ্যািক দীক্ষা গুরুর তিরোভাব হইয়া থাকে।
যে ভক্তরা হরে কৃষ্ণ জপ করেন, তাহাদের জন্য এই গ্রন্থটি অতি গুরুত্বপূর্ণ, চক্ষু উন্মীলিত করিবে। এই সুদুর্লভ জ্ঞানের বিনিয়োগে, নিশ্চিত রূপে নিত্য ব্রজে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের প্রত্যক্ষ নিজী সেবা প্রাপ্ত হইবে তথা নিত্য নবদ্বীপে শ্রীগৌরাঙ্গের প্রত্যক্ষ সেবাও প্রাপ্ত হইবে।
4. Gaur Bhajan- Bengali
যদি কেহ বাস্তবে সর্বোচ্চ আনন্দ প্রাপ্ত করিতে চাহেন, তাহাদের জন্য এই গ্রন্থ ‘গভীর গৌর ভজন ব্যতীত− মরী হওয়া অসম্ভব’, অত্যন্ত আবশ্যক।
এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে উপলব্ধি করিবার নিমি, এই গ্রন্থ অতি পদ্ধতিগতভাবে সমস্ত বিষয়ের সমস্ত উর প্রদান করে− শ্রীগৌরের বিষয়ে (তাঁহার অবতরণ, তাঁহার শিক্ষা, তাঁহার মহত্ত্ব, ইত্যাদি), গৌর ভজনের বিষয়ে (গৌর ভজন কেন করিব, কিভাবে করিব, কেন সম্পাদিত করিব, ইত্যাদি) এবং মরীভাবের বিষয়ে (মরীভাব কী, কে প্রদান করিয়াছিলেন, মরীগণ কাহারা, ইত্যাদি)। ইহা বর্তমানের দুর্ভাগ্যপূর্ণ পরিস্থিতিতেও আলোকপাত করে এবং আমাদের লক্ষ্যের স্পষ্টতার সহিত আলোকিত করে। ‘গৌরের নিকট প্রার্থনা’ এবং ‘গৌর ভজন কিভাবে করিবেন ?’– এই অধ্যায়গুলির মাধ্যমে আসুন আমরা সকলে শ্রীগৌরের নিকট প্রার্থনা করি এবং কিভাবে গৌর ভজন সম্পাদিত হয় তা সম্পর্কে জ্ঞাত হই এবং অন্ততঃ শ্রীমতী রাধারাণীর অতিপ্রিয় মরী হইয়া সর্বোম আনন্দ প্রাপ্ত করি।
5. Nitai Bhakti -Bengali
শ্রীমন্ নিত্যানন্দ প্রভুর শ্রীচরণকমলের প্রতি প্রেমভক্তি অত্যন্ত আবশ্যক, কারণ− সেই প্রেমভক্তিই শ্রীমন্ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করে এবং ফলস্বরূপ ব্রজ ভজনে সিদ্ধি প্রাপ্ত করায়, অর্থাৎ শ্রীমন্ নিত্যানন্দ প্রভুর বিশিষ্ট কৃপা ও আশীর্বাদে সাধক শ্রীরাধাকৃষ্ণের রহস্যময় জগতে প্রবেশ প্রাপ্ত করিয়া তাঁহাদের অত্যন্ত অন্তর সেবা প্রাপ্ত করেন।
হৃদয় হইতে শ্রীমন্ নিত্যানন্দ প্রভুর নাম জপ করা, নিত্যানন্দ প্রভুর নিকট সর্বান্তকরণে প্রার্থনা করা, নিত্যানন্দ ম এবং নিত্যানন্দ গায়ত্রী হৃদয় হইতে সম্পাদন করা− এগুলি অপরিহার্য, কেবলমাত্র নিত্য নবদ্বীপে প্রবেশের নিমিই নহে, অপিতু নিত্য বৃন্দাবনে প্রবেশের জন্যও ইহা অনিবার্য।
যিনি নিজেকে শ্রীমন্ নিত্যানন্দ প্রভুর নাম, রূপ এবং গুণাবলীতে আসাৎ করেন, সমস্ত নিগূঢ় তত্ত্ব সিদ্ধান্ত তাহার হৃদয়ে প্রকাশিত হইবে, এবং তিনি যুগলকিশোর শ্রীশ্রীরাধামাধবের অন্তরঙ্গ লীলায় প্রবেশ প্রাপ্ত করিয়া ধন্য হইবেন।
6. Anand -Bangla
আনন্দ, প্রায় প্রতিটি নতুন যুগের কর্মশালার, প্রায় প্রতিটি স্ব-সহায়ক আলোচনাসভার কেন্দ্রীয় বিষয়। আনন্দ, সমস্ত শাের সারমর্ম। এটি আনন্দ যার উপস্থিতি কাউকে উৎসাহিত করে এবং প্রাণবন্ত অনুভব করায়। কিন্তু−
* আনন্দ কী ?
* আনন্দ কিভাবে প্রাপ্ত করা যায় ?
* সমস্তকিছু করার পরও…সমস্তকিছুর অধিকারী হওয়া স েত্ত্বও, কেন আমি এখনও দুঃখিত ?
এই গ্রন্থ আমাদের জিজ্ঞাসিত এবং অজিজ্ঞাসিত সকল প্রশ্নের উর প্রদান করবে… এবং সকলের চির-আকাঙ্ক্ষিত এবং দীর্ঘ-আকাঙ্ক্ষিত আনন্দ প্রাপ্তির অন্বেষণের অবসান ঘটাবে..!
ইহা সত্যিই সমগ্র মানবতাকে আনন্দের অন্তহীন সমুদ্রে নিম িত করবে, চিরকাল…!!!
এতে কোন সন্দেহ নেই…!!